যশোর: আইনের মারপ্যাঁচে ২২ বছর ধরে মামলার বিচার-প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে যশোরের সাংবাদিক শামছুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার। কেন বিচার শুরু করা যাচ্ছে না, এটিই এখন বড় প্রশ্ন।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে যশোরের সাংবাদিক শামছুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ২৩তম হত্যাবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, শামছুর রহমানসহ দেশের সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালে’র মাধ্যমে মামলার প্রকৃত আসামিদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।
যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে) আয়োজনে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিশ্বাস শাহীন আহমেদ।
যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের (জেইউজে) সভাপতি মনোতোষ বসুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সমাজের কথার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আমিনুর রহমান মামুন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহাবুজ্জামান ঝন্টু, শামছুর রহমানের ভাই সাজেদ রহমান, দৈনিক কল্যাণের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এহসান উদ দ্দৌলা মিথুন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন।
আলোচনা সভায় আলোচনার শুরুতে শামছুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে, বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরের উদ্যোগে দোয়া মহফিল ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
এদিকে, শহীদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে যশোর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে কালো ব্যাচ ধারণ করে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোকর্যালি বের হয়। পরে র্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে কারবালায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শামছুর রহমান সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠর যশোর অফিসে কর্মরত অবস্থায় শামছুর রহমান আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৭ ঘণ্টা, ১৭ জুলাই, ২০২৩
ইউজি/এসএম