ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

উদ্বোধনের অপেক্ষায় সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্প

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
উদ্বোধনের অপেক্ষায় সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্প ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার থেকে: নির্মাণ শেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় আমদানিকৃত জ্বালানি তেল খালাসের জন্য নির্মিত ডাবল পাইপ লাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্প। এটি চালু হলে ১১ দিনের কাজ করা যাবে ৪৮ ঘণ্টায়।

বছরে সরকারের সাশ্রয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্রায় ৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সিঙ্গেল মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পটি এ বছরের যেকোনো সময় উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তা মনজেদ আলী শান্ত।

গত ২ জুলাইয়ে কমিশনিং করে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্পে পরীক্ষামূলকভাবে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাসের কার্যক্রম শুরু হয় বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত প্রকল্পটি।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে মনজেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছরের যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে আমদানি করা অপরিশোধিত তেল মাদার ভেসেল (সমুদ্রগামী বড় জাহাজ) থেকে লাইটার (ছোট) জাহাজে করে চট্টগ্রামে নেওয়া হতো। এতে ১০ থেকে ১১ দিন সময় লাগার পাশাপাশি সরকারের অনেক টাকা ব্যয় হতো।

বর্তমানে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমুদ্রের ১৫ কিলোমিটার ভেতরে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বয়ার মাধ্যমে মাদার ভেসেল থেকে তেল খালাস করা হবে। সাগরের তলদেশ দিয়ে দুটি পৃথক পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল এবং ডিজেল স্থলভাগে নির্মিত বিশাল আকৃতির ছয়টি ট্যাংকে সরবরাহ ও সংরক্ষণ করা হবে।

সংরক্ষণ ট্যাংকগুলোর মধ্যে তিনটি ট্যাংকের প্রত্যেকটিতে ৩৬ হাজার কিলোলিটার ডিজেল এবং বাকি তিনটি ট্যাংকের প্রত্যেকটিতে ৬০ হাজার কিলোলিটার ক্রুড ওয়েল সংরক্ষণ করা যাবে। পরে এসব ট্যাংক সেখান থেকে সারা দেশে পরিবহন ও সঞ্চালন করা হবে।

এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মোট ২২০ কিলোমিটার অফশোর ও অনশোর পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে।

সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের মাধ্যমে বছরে অপরিশোধিত তেল খালাস করা যাবে ৯ মিলিয়ন টন।

বাংলাদেশ বছরে ৬ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত ক্রুড ওয়েল এবং ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন পরিশোধিত তেল আমদানি করে।

দ্রুত, কম খরচে, পরিবেশবান্ধব উপায়ে জ্বালানি তেল খালাস করতে প্রকল্পটি নির্মাণ করে সরকার।

এ বিষয়ে মনজেদ আলী বলেন, প্রকল্পটি চালু হলে আগে ১১ দিনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল খালাস করা যায়, বর্তমানে তা মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় করা যাবে।

এতে বছরে সরকারের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনস্থ কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।