ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টগি ফান ওয়ার্ল্ডে শুরু হলো লেজার ট্যাগ টুর্নামেন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
টগি ফান ওয়ার্ল্ডে শুরু হলো লেজার ট্যাগ টুর্নামেন্ট ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: কোথাও খেলার মাঠ নেই। তাই উচ্ছল কিশোর-কিশোরীরা থাকেন ঘরবন্দি।

মোবাইলের থ্রিলিং গেমগুলোই যেন তাদের শেষ পছন্দ ও ডুব দেওয়ার স্থান। হাজারো সেসব মোবাইল গেমসের ভিড়ে স্বপ্নের ডানা আর মেলে না অবসাদের ভারে। সেই অবসাদের জায়গাটি থেকে কিশোর-কিশোরীদের বের করে তাদের গেমিং লাইফকে সত্যিকারের এক্সপেরিয়েন্স দিতে টগি ফান ওয়ার্ল্ডে শুরু হয়েছে লেজার ট্যাগ টুর্নামেন্ট।

লেজার ট্যাগ হলো একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর খেলা, যা সব বয়সের মানুষ উপভোগ করতে পারে। এছাড়া লেজার ট্যাগ একটি অনন্য ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, যা অফুরন্ত বিনোদনও দেয়। বিশেষ করে গেমিং প্লেয়ারকে দেবে সত্যিকারের যুদ্ধ যুদ্ধ স্বাদ।

শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির টগি ফান ওয়ার্ল্ডে লেভেল-১৮ তে এ ‘লেজার ট্যাগ টুর্নামেন্ট: ওয়ারিয়র সেভেন ট্যাগ নেস’ টুর্নামেন্ট শুরু হয়। এটির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ আগস্ট। আর এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীরা ১ লাখ টাকা মূল্যের চ্যাম্পিয়নশিপের বড় জয়ের সুযোগ পাবেন।

লেজার ট্যাগ হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক খেলা, যেখানে দলগতভাবে বা প্রত্যেকে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। খেলোয়াড়রা লেজার বন্দুক ব্যবহার করে একে অপরকে আঘাত করে। যে দলটি সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড়কে আঘাত করতে পারে তারা খেলায় জয়ী হয়। লেজার ট্যাগ খেলার জন্য একটি বিশেষ জায়গা প্রয়োজন। এ জায়গাটি সাধারণত একটি বড় ঘর বা একটি খোলা মাঠ হয়। জায়গাটিতে বিভিন্ন ধরনের বাধা থাকে- যেমন দেয়াল, মেঝে ও ছাদ। বাধাগুলো খেলোয়াড়দের একে অপরের থেকে লুকিয়ে থাকতে ও আক্রমণ করতে সাহায্য করে।

লেজার ট্যাগ খেলার জন্য বিশেষ লেজার বন্দুক ব্যবহার করা হয়। এ বন্দুকগুলো সাধারণত ছোট ও হালকা। বন্দুকগুলোতে একটি ব্যাটারি থাকে, যা বন্দুকটিকে পরিচালিত করে এবং লেজার রশ্মির সৃষ্টি করে। আর বন্দুকগুলোতে একটি লেজার মডিউল থাকে, যা লক্ষ্যকে আঘাত করে। এ খেলাটি খুবই জনপ্রিয় খেলা, যা সমস্ত বয়সের মানুষ খেলতে পারে।

টগি ফান ওয়ার্ল্ড আয়োজিত এ লেজার ট্যাগ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন রাজধানীর বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী অন্বেষা মল্লিক। তিনি বলেন, এখানে রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যায়। বিশেষ করে নিজেকে যোদ্ধা যোদ্ধা লাগে। মোবাইলের গেমটা তো পুরোটাই ভার্চ্যুয়াল। কিন্তু এখানে রিয়েল লাইফ। তাই এ খেলাটার মাজাটাও ভীষণ রিয়েল।

গেমে অংশ নিতে সিলেট থেকে এসেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিকা নাওয়ার চৌধুরী। তিনি বলেন, টগি ওয়ার্ল্ডে অন্যান্য গেমগুলোতে অংশ নিতে এসেই জানতে পারি এ টুর্নামেন্টের কথা। এর আগে একবার খেলেছি আর আজকে খেলছি। খেলাটা সত্যিই অনেক মজার। এখন তো সবাই মোবাইল বা কম্পিউটারে সময় কাটায়, সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এ রকম একটি ইনডোর গেম সত্যিই ভালো। এতে ভালো সময় কাটে, অনেকের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়। বাসার একঘেয়েমি ভাবটা কাটানোর জন্য এমন আয়োজন অনন্য।

আর পুরো আয়োজন নিয়ে টগি ফান ওয়ার্ল্ডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) অঙ্গন ফারিয়া বলেন, লেজার ট্যাগ হলো একটি থ্রিলিং গেম। এ খেলা খেলোয়াড়দের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং সমন্বয় করে কাজ করতে সাহায্য করে। এটি একটি শারীরিকভাবে সক্রিয় খেলা, যা খেলোয়াড়দের শক্তিশালী ও ফিট রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে বিনোদন দেয়। তাদের উদ্বেগ ও চাপ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এ গেমটি। আমরা আশা করি, এ গেমটি আস্তে আস্তে আমাদের এখানে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে সবার মধ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।