ঢাকা: আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্রে জানা গেছে, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। এগুলোর নাম হচ্ছে- প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থাকবে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর জেলা ও সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।
এর আগে গত রোববার (১৩ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। গেজেটে ১৮ থেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রবাসে থাকা যেসব বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারাও এ স্কিমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।
এ সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চারটি স্কিম রয়েছে। চার স্কিমের মধ্যে রয়েছে- প্রবাস স্কিম (প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য), প্রগতি স্কিম (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য), সুরক্ষা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য) ও সমতা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য)। এসব স্কিমে চাঁদার হার কত হবে তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকার সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০১৩ সনের ৪ নম্বর আইন) এর ধারা ২৯ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলো। এ বিধিমালা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ নামে অভিহিত হবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকরাও স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা দেওয়া শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন। প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারাও তাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন।
এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিরা তাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে স্কিমে অংশগ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে। কোনো স্কিমে নিবন্ধনের জন্য দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিককে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করে আবেদন করতে হবে। যার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়া হবে। আবেদনে উল্লিখিত আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এবং অনিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার ও মাসিক চাঁদা দেওয়ার তারিখ অবহিত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
জিসিজি/আরবি