ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

কসমেটিকস ব্যবহারে সচেতনতা, ফেলোশিপ দেবে ভোক্তা অধিদপ্তর ও এএসবিএমইবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
কসমেটিকস ব্যবহারে সচেতনতা, ফেলোশিপ দেবে ভোক্তা অধিদপ্তর ও এএসবিএমইবি

ঢাকা: স্কিন কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টস (কসমেটিক) পণ্য ব্যবহারে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে যৌথভাবে মিডিয়া ফেলোশিপ দেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব বাংলাদেশ (এএসবিএমইবি)।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইনে কর্মরত সংবাদকর্মীদের এই মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদানের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও এএসবিএমইবি এর মাঝে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

 

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইনে কর্মরত ৩০ জন সংবাদকর্মীকে এই ফেলোশিপ দেওয়া হবে। ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে স্কিন কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টসের বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে৷ যাতে নির্বাচিত গণমাধ্যমকর্মীরা এসব কসমেটিকস ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরিতে গভীর অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন। ফেলোশিপের জন্য ইচ্ছুক গণমাধ্যমকর্মীরা অনলাইনে অথবা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি ভোক্তা অধিদপ্তর ও এএসবিএমইবি এর মধ্যে স্কিন কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টসের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সেই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী স্কিন কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টসের বিষয়ে দুই পক্ষের অনেক কাজ করার কথা ছিল। তারই অংশ হিসেবে আমরা যৌথভাবে এই মিডিয়া ফেলোশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  


এএসবিএমইবি এর আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই ফেলোশিপ একটি কার্যকরী উদ্যোগ। এই ইন্ডাস্ট্রি (স্কিন কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টস) ক্রমবর্ধমান। কিন্তু দেশে এর কোনো বড় বিনিয়োগ গড়ে ওঠেনি। যার কারণে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে নিম্নমানের কসমেটিক পণ্য আসছে, আবার দেশেও নকল পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। জনগণ এই বিষয়ে তেমন সচেতন নয়। মিডিয়া এই সচেতনতার কাজটি করতে পারে৷ কসমেটিকসে ব্যবহৃত ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে নিয়ন্ত্রণের সময় এসেছে৷ মিডিয়া ফেলোশিপের মাধ্যমে জনগণ এই বিষয়ে সচেতন হবে এবং উপকৃত হবে।

এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা ও এএসবিএমইবি-এর যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
এসসি/এসআইএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।