ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বিজিবিকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
সোমবার (০৪ মার্চ) সকালে ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৪ উপলক্ষে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তদেশীয় সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল নজরদারি এবং স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে রাডার স্থাপন করেছে করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে বিজিবির অপারেশনাল বাড়ানোয় কাজ ও দক্ষতার প্রতি তাদের আগ্রহ বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন -২০১০’ পাস করেছি। একটি আধুনিক, শক্তিশালী, দক্ষ ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আজ গড়ে উঠেছে এবং এখন জল, স্থল এবং আকাশ পথের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ প্রণয়ন করেছি, যেভাবে বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের বিজিবিও হবে তেমনি একটি স্মার্ট বাহিনী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিজিবিতে সৈনিক পদে মোট ৩৫ হাজার ৫১৭ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। ৫৫ হাজার ১৮৭ সদস্যকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং আমরাই প্রথম বিজিবিতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এ পর্যন্ত বিজিবিতে ৯৯৬ জন নারী সৈনিক ভর্তি হয়েছে। বিজিবি ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী এই বাহিনীতে আরও ১৫ হাজার জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা যেন আরও উন্নত হয় তার যথাযথ ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে এবং তাদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমুখী ব্যবস্থাও প্রবর্তন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৪
এমইউএম/এসআইএস