ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভবন নির্মাণে অনিয়ম ঠিকাদারকে দেওয়া সুবিধা বললেন প্রকৌশলী!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
ভবন নির্মাণে অনিয়ম ঠিকাদারকে দেওয়া সুবিধা বললেন প্রকৌশলী! নির্মিতব্য নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।  

কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (এসও) উপস্থিতিতেই নির্মাণ কাজে ওই অনিয়ম করা হয় বলে অভিযোগ।

অনিয়মের বিষয়টি ইতোমধ্যে স্বীকার করে বিষয়টিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া সুবিধা বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।

জানা গেছে, ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভবনের কাজ প্রায় শেষের পথে ও এর সাব-স্টেশন ভবন নির্মাণের কাজ  চলমান রয়েছে। ২০২২ সালে ওই নির্মাণ কাজের সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে কাজটি পান পোদ্দার কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়রা জানান, শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়নের মাধ্যমে হাসপাতালের মূল ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। সাব-স্টেশন নির্মাণে কাজে লোহার শাটারিংয়ের নির্দেশ থাকলেও তা না করে বাঁশ ও কাঠের শাটারিং দিয়ে গত ১১ মার্চ ওই ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেনি।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী রাসেল কবিরের সামনেই ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে।  

লোহার বদলে বাঁশ কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজটি আগের মূল্যের। বর্তমানে নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেক বেশি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাজে লোকসান হবে। (তাই এমনটি করা হয়েছে)।

সামান্য কিছু অনিয়ম হতে পারে বলে অভিযোগ স্বীকার করেছেন কাজের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. মেজবাহ উদ্দিন।  

তিনি বলেন, গত ২০২২ সালে একই সময় সারা দেশে এমন আরো কয়েকটি ভবন নির্মাণের কাজের টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু কাজে লোকসানের ভয়ে সেসব কাজ করা হয়নি। কাজে সামান্য কিছু অনিয়ম হতে পারে।

অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেনকে ফোন করা হয়।  

অনিয়মকে ঠিকাদারকে দেওয়া সুবিধা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মোবাইলফোনে তিনি বলেন, কাজটি পুরানো দরে। অনেক ঠিকাদারই কাজ করছেন না। কাজটি সম্পন্ন করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কিছু ছাড় দেওয়া (সুবিধা) হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মশিউর রহমান বলেন, কাজের তদারকির বিষয়ে কমিটি আছে। তাদের কোনো ধরনের পূর্ব তথ্য ছাড়াই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের খেয়াল খুশি মতো নির্মাণ কাজ করেন। তাই তদারকি কমিটি কাজের যথাযথ তদারকি করতে পারেনি। অনিয়মের  বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে ফোনে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।