খুলনা: এবারের ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে খুলনার ঈদবাজার। পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে প্রতিটি মার্কেটে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের প্রতিটি মার্কেট ও বিপণিবিতানে ঈদের আমেজ। সবখানেই ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি। মার্কেটগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শহরের মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রেতারা আসছেন মার্কেটে। ইফতারের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে দোকানগুলোতে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি। পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি, প্যান্টের দোকানসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকানেও রয়েছে আলাদা ভিড়।
দোকানিরা জানান, এবারের ঈদে পাকিস্তানি ও ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের থ্রিপিস বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি থ্রিপিস সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, ভারতীয় ব্র্যান্ড ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং ভারতীয় বুটিকসের পোশাক ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি আগানূর থ্রিপিস, সাদাবাহার, মারিয়াবী ও ভারতের আলিয়া কাট, নায়রা কুর্তি ইত্যাদি।
খুলনার নিউ মার্কেটে পোশাক কিনতে আসা নেসাউন নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে সবাই পাকিস্তানি আগানূর থ্রিপিস বেশি নিচ্ছে। যেগুলোর দাম ২ হাজার, ৩ হাজার, ৪ হাজার টাকা। এর থেকে বেশি দামেও রয়েছে।
ফাতেমা’স ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী ফাতেমা আফরোজ বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ঈদে মেয়েদের পাকিস্তানি আগানূর থ্রিপিসের প্রতি ঝোঁক একটু বেশি। এছাড়া দেশি কিছু ব্র্যান্ড আছে যেগুলো ভালো চলছে। এবারের ঈদে বিক্রি ভালোই হচ্ছে। দিনের তুলনায় রাতে বিক্রি বেশি হয়, যা চলে মাঝ রাত পর্যন্ত।
গরমের বিষয়টি মাথায় রেখে আরামদায়ক পোশাকে নজর রাখছেন পুরুষরা। বিক্রেতারাও নিয়ে এসেছেন আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক। তবে এক্ষেত্রে এবারের ঈদেও পুরুষের পছন্দ সুতির পাঞ্জাবি।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে বিপণি কেন্দ্রের সানোয়ার পাঞ্জাবি ঘরের মালিক মোহাম্মদ শওকত আলী সানোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, সুতির পাঞ্জাবি বেশি চলছে এবারের ঈদে। ইফতারির পর মার্কেটে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়।
বিএল কলেজ শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন বলেন, ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আগেই খুলনা থেকে কেনাকাটা সেরে নিলাম। মার্কেটগুলোতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠছে। এজন্য দুপুরের সময় ভিড় কম থাকায় মার্কেটে গিয়েছিলাম। আমার নিজেরসহ পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করলাম। তুলনামূলক পোশাকের দাম এবারের ঈদে একটু বেশি। তবে ব্র্যান্ডের জুতাগুলোয় দাম ওইভাবে বাড়েনি।
হেলাল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে দোকানদারদের অমানবিক আচরণের স্বীকার হলাম। একটা পাঞ্জাবির কাপড় ১ হাজার ৮০০ টাকা দাম চাইলো, ৮০০ টাকা বলার পর বলে এমন দামে হবে না, চলে আসার সময় সেই ৮০০ টাকায় দিলো। তারা কাস্টমারকে জিম্মি করে ব্যবসা করছে। ভোক্তা অধিকারের উচিত বাজারে মোবাইল টিম রাখা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৪
এমআরএম/আরবি