ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে না পারায় লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষোভ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৪
সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে না পারায় লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষোভ

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর দিন কোভিড টেস্ট না করায় সংসদ অধিবেশনে অংশ নিতে সংসদে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।  

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ সময় তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন তাকে বিষয়টি জানানো হয়নি।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সংসদের গত ২ মে এর অধিবেশনে আমি অংশগ্রহণ করতে পারিনি। ওইদিন আমি সংসদ এলাকায় এসেছিলাম। তখন দ্বাররক্ষীরা বলেন, প্রবেশ করতে গেলে কোভিডের সার্টিফিকেট দিতে হবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- আমাকে জানানোই হয়নি সংসদে প্রবেশ করতে হলে কোভিডের সার্টিফিকেট লাগবে। এতে আমি মনে করি- ব্যক্তি লতিফ সিদ্দিকীকে নয়, আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কেননা আমি সংসদে অংশ নিতে পারিনি এবং আপনার নেতৃত্বে যে কমিটি আছে সে কমিটিতে আমি অংশ নিতে পারিনি। যারা এ দায়িত্বে আছেন, তারা যথারীতি এ দায়িত্ব পালন করেননি।  

তিনি আরও বলেন, এ আদেশটি কে বা কারা জারি করলেন? সংসদ সচিবালয় বা স্পিকার আদেশ তো দেবেন। তবে যাদের ওপর এ আদেশ প্রতিপালনের দায়িত্ব তাদের সঠিকভাবে সেটি জানানো হয়েছে কিনা, সেটি তারা নিশ্চিত করেননি।

স্পিকারের উদ্দেশে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি তন্ন তন্ন করে আমার মোবাইল ফোন খুঁজে দেখেছি, আমার মোবাইল ফোনে কোনো বার্তা যায়নি। কোনো বার্তা গেল না, স্পিকারের দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি গেল না, তারপরে সংসদে প্রবেশ থেকে আমাকে বিরত রাখা হলো, আমার অধিকার ভঙ্গ হয়েছে। তবে আমি বিচার চাই না। ভবিষ্যতে এ রকম অপমানজনক ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে আপনার মাধ্যমে সংসদে যারা রাষ্ট্র কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত বা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারা দায়িত্বশীল আচরণ করবেন এটাই প্রত্যাশা করছি।  

এরপর তিনি পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, টাঙ্গাইলে পুরোনো ব্যাটারি ভেঙে সীসা বের করে একটা কারখানা। এ কারখানার আশপাশের বাড়ির টিন পুড়ে যাচ্ছে, গাছপালা পুড়ে যাচ্ছে, শস্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে তাদের এ কারখানাটি করার অনুমোদন দেওয়ায় তিনি এটাকে লজ্জার, দুঃখের বলে উল্লেখ করেন। পরিবেশ দূষণের এ মারাত্মক বিষয়টির সমাধান চেয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, বিষয়টি আমরা সেদিনেই জেনেছি। আপনার প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিড সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া হয়েছিল এবং সেটা না থাকার কারণে আপনি ভেতরে আসতে পারেননি। এ বিষয়টি খোঁজ করার পরে সংসদ সচিবালয় থেকে আমাকে অবহিত করা হয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সব সংসদ সদস্যদের বরাবর একটি বার্তা বা মেসেজ পাঠানো হয়েছিল কোভিড পরীক্ষা করার বিষয়ে। সেখানে যে সিস্টেম তাতে দেখা গেছে সব সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোনে তা সেন্ট হয়েছে। কিন্তু আপনি বলেছেন, আপনার মোবাইল ফোনে এ ধরনের কোনো মেসেজ আপনি পাননি। আমার মনে হয় আপনাদের (এমপিদের) যে মোবাইল নম্বর আমাদের সংসদ সচিবালয়ে আছে সেটা পুনরায় চেক করতে হবে, যেন ঠিক জায়গায় মেসেজটি পাঠানো হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।