ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ মে ২০২৪, ১৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন

গোপন বৈঠকের অভিযোগে ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ গ্রেপ্তার ৬

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৪
গোপন বৈঠকের অভিযোগে ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ গ্রেপ্তার ৬

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এক প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠকের অভিযোগে ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১০ প্রিসাইডিং অফিসারকে বাতিল করে নতুন ১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন রিটানিং কর্মকর্তা।

 

সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।  

গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, এস বি রেলওয়ে কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং এদের সমন্বয়ক শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, রোববার (৫ মে) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার কাদাই এলাকার গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কতিপয় প্রিসাইডিং অফিসার সদর উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য গোপন বৈঠক করছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়া গেলেও ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।  

এ সময় পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় সোমবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও এদের মাস্টার মাইন্ড সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সে বিষয়টি আরও তদন্তের পর জানানো হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭১টি কেন্দ্র রয়েছে। এ ঘটনার পর ইতোমধ্যে ১০ জন প্রিসাইডিং অফিসারকে বদল করে নতুন ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।