ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বাঁধে ধস

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বাঁধে ধস

চাঁদপুর: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধের প্রায় ৪০ মিটার ধসে পড়েছে।
 
সোমবার (২৭ মে) দিনগত রাতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাঁধটির মোহনপুর এলাকায় এই ধসের দেখা দেয়।

উপজেলার মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদ বলেন, আমরা মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে বাঁধ ধসে পড়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি বেড়িবাঁধটির দক্ষিণ-উত্তর পাড়ের প্রায় ১০০ ফুট জায়গা মেঘনার দিকে ধসে পড়েছে। এ সময় বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখা গেছে, মোহনপুর এলাকায় প্রায় ৪০ মিটার এলাকা ধসে পড়েছে। সেখানে বিরাট গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধটির ধসে পড়া স্থান দেখতে সেখানে ভিড় করছেন স্থানীয়রা।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন বলেন, নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত দুবার বাঁধ ভেঙে যায়। লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়।

তিনি আরও বলেন, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাধ সুরক্ষার জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছেন। তবে গতকাল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বেড়িবাঁধের প্রায় ৪০ মিটার ধসে পড়েছে এবং ক্ষতি হয়েছে। এই স্থান মেরামতের জন্য আপাতত কোন বরাদ্দ নেই। আমি মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করব।

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লোক মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাধ পরিদর্শনে গিয়েছে। কোন কোন জায়গায় ক্ষতি হয়েছে, কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তারা আসলে আমরা জানতে পারবো। পরে আমরা প্রস্তাব আকারে বরাদ্দের জন্য পাঠাব। বরাদ্দ আসলে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো মেরামত করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
এমএম 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।