ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা: কাজের পরিধি নির্ধারণ, কমিটির সদস্যও বাড়ল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৪
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা: কাজের পরিধি নির্ধারণ, কমিটির সদস্যও বাড়ল

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির সদস্য বেড়েছে। একইসঙ্গে কমিটির কাজের পরিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের যৌক্তিক বয়সসীমা নির্ধারণের বিষয়ে সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহবায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

ওই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক কমিটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সরকার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।

নতুন প্রজ্ঞাপনে কমিটির সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। তারা হলেন- সাবেক যুগ্মসচিব বেগম কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল সাবেক এবং অর্থ বিভাগের বর্তমান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

সরকারি চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে গেলে চাকরিপ্রার্থীদের টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে তারা যমুনার সামনে বসে পড়েন। এ নিয়ে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। মঙ্গলবার তারা শাহবাগে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

কমিটির উদ্দেশ্য: কমিটি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হলো ছাত্রদের সুষ্ঠু ও বৈধ দাবিগুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা এবং একটি কার্যকর সমাধানের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করা।

কমিটির কার্যপরিধি/তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ: দেশের বর্তমান চাকরির বয়সসীমা এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনা করা; ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও এর পেছনের কারণসমূহ বিশ্লেষণ করা; কোভিড-১৯ এর অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ, বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য প্রভাবকারী উপাদানগুলো বিবেচনা করা।

মতামত গ্রহণ: শিক্ষাবিদ, চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট মতামত গ্রহণ করা।

আইনি ও প্রশাসনিক দিক: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য আইনগত ও প্রশাসনিক বাধাগুলি বিশ্লেষণ করা; প্রয়োজনীয় আইনি পরিবর্তন ও সংশোধনের জন্য সুপারিশ প্রস্তুত করা।

অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ: চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির ফলে শ্রম বাজারে কী ধরণের প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ করা; সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করা।

প্রস্তাবনা প্রস্তুতি: প্রাসঙ্গিক তথা ও পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত করে একটি সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করা।

সুপারিশ পেশ: কার্যপরিধি অনুযায়ী কার্যক্রম সমাপ্তির পর কমিটির সুপারিশ সংবলিত একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করা; রিপোর্টটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেশ করা।

সাচিবিক সহায়তা, লজিস্টিকস ও অন্যান্য: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিটির জন্য একটি যথোপযুক্ত দপ্তর ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস প্রদানের ব্যবস্থা করবে; সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সভার সদস্যগণ প্রতি সভার জন্য যেরূপ সম্মানী পেয়ে থাকেন, এ কমিটির সদস্যগণ একই খাত থেকে সমপরিমাণ সম্মানী প্রাপ্য হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজে

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।