ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু বৈষম্যের শিকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৪
দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু বৈষম্যের শিকার

ঢাকা: দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিশু অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন কচি কণ্ঠের আসর।

‘বিশ্ব শিশু দিবস এবং বিশ্ব শিশু সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ্জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির বিস্তারিত জানাতে গিয়ে এ তথ্য দেন বক্তারা।

শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলা এই সংগঠন গত সপ্তাহজুড়ে নানা কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও বিবরণ গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশু-কিশোরদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিশু সংগঠক হেমায়েত হোসেন বলেন, দেশের গ্রামাঞ্চলে বহু শিশু এখনও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে বয়সে তাদের শিক্ষার জন্য স্কুলে যাওয়া দরকার, সে বয়সে অনেকেই পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার মতো গুরুদায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের লোকজনকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পথশিশুরা এখনও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছে না। যার ফলে চিকিৎসার মতো মৈালিক অধিকারের ক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল মো. কাইয়ুম খান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশেই শিশুরা নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। বিশেষ করে, যুদ্ধইবিধ্বস্ত দেশগুলোতে শিশুরা বহু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কচি কণ্ঠের আসরের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম লুৎফর রহমান, সহ-সম্পাদক নুর মোহাম্মদ আব্দুল মুকিত, ট্রেজারার মো. আজমল আলী খান, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও আর্ট সেক্রেটারি মো. সফিকুল ইসলামসহ কার্যনির্বাহী সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।