ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তামিম হত্যার বিষয়ে যা জানাল পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৪
দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তামিম হত্যার বিষয়ে যা জানাল পুলিশ

ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিলের মহানগর আবাসিক এলাকায় একটি আবাসন নির্মাতা (ডেভেলপার) প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধের জেরে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে হত্যা করা হয়।  

প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটি যে ভবন নির্মাণ করেছে, সেটির অন্যতম মালিক তামিমের বাবা সুলতান আহমেদ।

চুক্তি অনুসারে তামিমদের সেই ভবনে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু এ সংক্রান্ত নথি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. মামুনের কাছে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দেয়। এ নিয়েই শুরু হয় বিরোধ। যার জেরে বৃহস্পতিবার প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ লিমিটেডের লোকজনের হাতে খুন হন তামিম।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. রুহুল কবির খান এসব তথ্য জানান।

গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে জমির মালিক তামিমরা ভবনের সাত তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে কাজ করতে যান। কিন্তু ওই ফ্ল্যাট কিনে নেওয়া মামুনের সহযোগিতায় প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমিড) আব্দুল লতিফসহ ২০ থেকে ২৫ জন তানজিল জাহান ইসলাম তামিমের ওপর হামলা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

মো. রুহুল কবির খান বলেন, এই ঘটনায় তামিমের বাবা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আমরা অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তাররা হলেন প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ লিমিটেডের এমডি মো. আব্দুল লতিফ (৪৬),  মো. কুরবান আলী (২৪),  মাহিন (১৮), মোজাম্মেল হক কবির (৫২) ও বাঁধন (২০)।

বিএনপির এক নেতা কোম্পানিটির মালিক এবং তার ইন্ধনে এ হামলা হয়ে বলে অভিযোগ তামিমের পরিবারের। এছাড়া এই ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. মামুনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের এই উপ-কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনার নয়। আমরা অপরাধ ও অপরাধী হিসেবে দেখছি। সে যেই হোক, তার দায় থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দেবো।  

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তার (ওই নেতা) সম্পৃক্ততা পাচ্ছি। এই ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল তা তদন্তে উঠে আসবে। এছাড়া মাদকের ওই কর্মকর্তাকে মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমরা তার সম্পৃক্ততার বিষয় তদন্ত করে দেখবো। বিএনপি নেতা রবিউল ৩ নম্বর আসামি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির খান বলেন, জমির মালিকের সঙ্গে ডেভেলপার কোম্পানির দ্বন্দ্ব। সুতরাং তার তো দায়ই থাকবে। বাকিটা তদন্তে উঠে আসবে।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ মিলেছে, জানতে চাইলে রুহুল কবির খান বলেন, হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব অবহেলায় ইতোমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার অবহেলার বিষয়টি পেয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৪
এমএমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।