ঢাকা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ (২৩)। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এ দিন সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আব্দুল্লাহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তার মরদেহ বেনাপোলের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
আব্দুল্লাহ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিন ভাই এবং এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন।
শহীদ আব্দুল্লাহর চাচা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই আব্দুল্লাহ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে বংশাল থানার সামনে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে এবং সেখানে বড় একটি গর্ত হয়ে যায়।
তাকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হলে তাকে যশোর নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে পুনরায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানাজায় আব্দুল্লাহর বাবা ও এক ভাই উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম এবং ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েমসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আল্লার কসম করে বলতে চাই, যতদিন না ফ্যাসিস্টদের উৎখাত হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জালিমের প্রতি উদারতা মজলুমের প্রতি অত্যাচারের শামিল। আপনারা ফ্যাসিস্টদের প্রতি উদারতা দেখিয়ে শহীদদের সঙ্গে প্রহসন করছেন।
জানাজার পর শহীদ আব্দুল্লাহর লাশ সামনে নিয়ে শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার মিছিল করে উপস্থিত ছাত্র-জনতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
এমজেএফ