ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ পৌষ ১৪৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সাংবাদিক হারুন, মানবিক সাহায্যের আবেদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সাংবাদিক হারুন, মানবিক সাহায্যের আবেদন সাংবাদিক হারুন আর রশিদ

খুলনা: মৃত্যু যেন কড়া নাড়ছে সাংবাদিক হারুন আর রশিদের দরজায়। কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

সময় যত গড়াচ্ছে সাংবাদিক হারুনের শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে সাংবাদিক হারুনের পরিবার।

তারা বলছেন, বিত্তবানরা সাহায্যের হাত না বাড়ালে অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেলে সাংবাদিক হারুন অর রশিদ হেরে যেতে পারেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে। নিভে যেতে পারে এক প্রতিভাদীপ্ত কলম সৈনিকের জীবন প্রদীপ।

বিনয়ী সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খুলনা প্রেসক্লাব ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক নির্বাহী সদস্য ও দৈনিক জন্মভূমির সিনিয়র রিপোর্টার।  

সাংবাদিক হারুন অর রশিদের মেয়ে হুমায়রা বিনতে হারুন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তার বাবা কিডনি রোগে ভুগছেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২ ডিসেম্বর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৩ ডিসেম্বর কিডনি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।  

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহরিয়ার জানান, তার অবস্থার প্রতিনিয়ত অবনতি হচ্ছে।  

পরিবারের সূত্র জানায়, হারুন ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। মেয়ে হুমায়রা বিনতে হারুন সরকারি পাইওনিয়ার কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছেলে সানি সাদমান অয়ন শিশু শ্রেণিতে পড়ে। তার স্ত্রী সেলিমা রশিদ সালমা প্যারালাইজড আক্রান্ত হয়ে তিন বছর ধরেই শয্যাশায়ী। তিনি খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের বেলফুলিয়ার রাজাপুরে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।  

নিঃস্বার্থভাবে অসহায় মানুষের জন্য যে মানুষটি আজীবন লিখে গেছেন, সেই মানুষটিই আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার জন্য স্বজনরা সবার কাছে দু-হাত পেতে চাইছেন মানবিক সহায়তা।

মানবিক সহায়তা পাঠানো যাবে: বিকাশ- 01714480316 (পারসোনাল)

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
এমআরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।