ঢাকা: ককটেল বা পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের দেখামাত্র, তাগো ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিছি। জায়গায় ফিনিশ কইরা দিমু।
শুক্রবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর গুলশান-২ গোলচত্বর মোড়ে আন্দোলনরত অবস্থায় বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন তিনি।
আলী হোসেন বলেন, মানুষ জ্বালাবে, মারবে! আর জনগণ তামাশা দেখবে, তাতো হতে পারে না। তাই আমরা চালক শ্রমিকরা সম্মিলিতভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পেট্রোল বোমা, ককটেল বা ভাঙচুরের জন্য যারাই গাড়ির সামনে দাঁড়াবে, তাদের ওপর দিয়া সরাসরি গাড়ি চালিয়ে দেব। জায়গায় ফিনিশ। নো ঝামেলা।
তিনি বলেন, হরতাল অবরোধে চালকরা রাস্তায় গাড়ি নামালেই পেট্রোল বোমা মারছে। চালক, হেল্পারসহ যাত্রীরা মারা যাচ্ছেন। কেউ আবার ঢাকা মেডিক্যালে তিলে তিলে মরছে। এর বিহিত করতে যেহেতু আমরা রাস্তায় নেমেছি। সুতরাং শেষ দেখেই ছাড়ব। তাছাড়া দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেতো আর কিছু করার থাকে না।
হরতাল অবরোধে জ্বালাও পোড়াওয়ের প্রতিবাদে রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন মোটর শ্রমিকরা। কিন্তু শুক্রবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে সেখানে পাঁচটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। ককটেল বিস্ফোরণের পর গুলশান-২ গোলচত্বর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কর্মসূচিতে অবস্থান নেওয়া বেশিরভাগ মানুষ ছোটাছুটি করে চলে যায়। এর পর বিএনপি চেয়ারপারসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান।
মুজিবুর রহমান বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি হরতাল অবরোধ বন্ধ না করেন তাহলে আমরা আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তি কর্মসূচির চূড়ান্ত সময় ঘোষণা করবো। এবার আর আমরা রাস্তায় অবস্থান না। সরাসরি খালেদা জিয়ার বাসার সামনে অবস্থান নেবো। ককটেল মারলে সেখানে মারুক। প্রয়োজনে আমরা আমাদের জীবন দিবো।
বাংলাদেশ সময় : ০৭০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫