রংপুর: ধৈর্য্যের সীমা শেষ হয়ে গেছে, জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দেখতে এসে র্যাব-১৩’র পরিচালক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। শিগগিরই সুসংবাদ দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ঘটনাটিকে মর্মান্তিক উল্লেখ করে বিজিবির উত্তর পশ্চিম রিজিওনের রিজোনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহফুজুর রহমান বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তা দিতে সতর্ক রয়েছি। যৌথভাবে নিরাপত্তা দিয়ে আসছি। কিন্তু আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। তাই এখন থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতেও নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির বলেন, রংপুরের মিঠাপুকুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ডিলুয়ার বখত বলেন, দগ্ধদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং তাদের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় তিন শিশুসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ২৯ যাত্রী। নিহতদের মধ্যে এক শিশুর পরিচয় জানা গেছে। তার নাম সুজন (১০)। সে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের তারা মিয়া ও সোনা বানুর ছেলে। এ ঘটনায় শিশুটির মা সোনা বানুকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম।
শুক্রবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের তুলসীঘাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫