ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাজনৈতিক অস্থিরতায় সাভারে কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায় ধস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫
রাজনৈতিক অস্থিরতায় সাভারে কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায় ধস

সাভার (ঢাকা): চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় সাভার, ধামরাই ও আশুলিয়ায় ধস নেমেছে কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়। সামাজিক কার্যক্রম বিশেষ করে বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন আয়োজন প্রায় বন্ধ থাকায় বেকার হতে বসেছেন বয়, বাবুর্চিসহ এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দু’সহস্রাধিক মানুষ।



সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে কর্মচাঞ্চল্যের বিপরীতে একরকম নিস্তবদ্ধতা।

হরতাল-অবরোধের কারণে গত একমাসে বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়নি বলে কমিউনিটি সেন্টার সংশ্লিষ্ট ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কমিউনিটি সেন্টারের মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

শওকত আলী নামের এক আপ্যায়ন কর্মী বাংলানিউজকে জানান, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আপ্যায়ন করেই দিনে দু’শ টাকা উপার্জন করি। এর বাইরে অতিথিদের দেওয়া বকশিশতো রয়েছেই।

তবে একমাসে কোনো কাজ না থাকায় বেশ বিপাকেই পড়েছেন তিনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কী খাবেন, কীভাবে ঘর ভাড়া দেবেন চোখে-মুখে ‍তার এখন এমন হতাশার ছাপ।

আশুলিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাবুর্চির কাজ করেন রফিক হোসেন। বাংলানিউজকে তিনি জানান, অতিথিদের জন্য রুচিসম্মত খাবার তৈরিতে আমাকে নিয়ে একরকম টানাটানিই চলতো। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি সে চিত্রকে বদলে দিয়েছে।

কাজ নাই তাই জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাচ্ছি, কিন্তু এভাবে আর কতদিন। এভাবে চলতে থাকলে ধার-দেনার জন্য হাত পাততে হবো- বেশ ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন রফিক।

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন কম, তেমনি কমে গেছে এ খাতের সঙ্গে জড়িত নানা কার্যক্রম।

সাভারের আমিন কমিউনিটি সেন্টারের মালিক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, কোনো কাজ না থাকায় ম্যানেজার, ঝাড়ুদারদের বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। তবে এখাতের সঙ্গে জড়িত স্বল্প আয়ের মানুষ, বিশেষ করে আপ্যায়নকারীদের মূল পারিশ্রমিকই বকশিশ, অনুষ্ঠান না হওয়ায় তারা চরম কষ্টের মাঝে রয়েছেন।

তিনি জানান, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কমিউনিটি সেন্টারগুলোর ভরা মৌসুম। চলমান রাজনৈতিক কারণে আগের বুকিং বাতিল আর নতুন করে কোনো বুকিং না হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারেও। অর্থাৎ সরবরাহকারী থেকে শুরু করে ব্যান্ড পার্টির সদস্য সবাই একরকম অলস সময় পার করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।