চাঁদপুর: এখন আমার কি হবে। কী হবে আমার সন্তানদের।
আবুল হোসেন চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানুল্লাহপুর গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে। স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে তার। ছেলে মাসুদ মোল্লা ৮ম শ্রেণি ও মেয়ে তানজিনা স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
পরিবারের লোকজন বাংলানিউজকে জানান, ১৩ বছর আগে সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছিলেন আবুল। এরপর বড় ভাই সোলেমান ও ছোট ভাই সৈয়দকে সৌদিতে নিয়ে যান তিনি। মার্চে আবুলের বাড়ি আসার কথা থাকলেও এবার লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাকে। এমন খবরে এলাকাবাসীর মাঝেও শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
ছেলে মাসুদ মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, গত পরশু আমাকে ফোন করে বলেছিল, পড়ালেখা ভালোভাবে করো। তোমার যা যা প্রয়োজন সব নিয়ে আসবো।
আবুলের ছোট ভাই ছাদেক বাংলানিউজকে মোল্লা বলেন, বড় দুই ভাই সোলেমান ও সৈয়দ ফোন করে বলেছেন, আগুনে তার মুখমুণ্ডল এমনভাবে পুড়েছে যে তার চেহারা-ই এখন চেনা যায় না। তবে, সৌদি সরকার ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশ সনাক্তের চেষ্টা করছে।
কবে নাগাদ লাশ দেশে আসবে এ ব্যাপারে কিছুই জানে না পরিবারের সদস্যরা। তবে, লাশ যেন দ্রুত দেশে আনা হয়। এ দাবি করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
২২ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের দাম্মামে ভয়বাহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যান আবুল হোসেন মোল্লা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫