ঢাকা: চলতি বছরের শুরু থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে ১১ শিশু নিহত এবং ১২ শিশু আহত হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং নাশকতায় শিশুদের ব্যবহার করাও হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল ম্যাকগ্রাথ এক বিবৃতিতে এ উদ্ধেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে শিক্ষাব্যবস্থায়। গত দেড় মাস ধরে স্কুলগুলো রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকছে। এতে করে শিশুরা ক্লাস করতে পারেনি এবং অনেক শিশুর পরীক্ষা পিছিয়েছে বারবার।
মাইকেল ম্যাকগ্রাথ আরও বলেন, শিশুদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য আর সার্বিক কল্যাণের ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাবের বাইরেও, শিশুদের ওপর সহিংসতার মানসিক প্রভাব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু ভয়ের পরিবেশে বাস করে তারা সহিংসতার সংস্পর্শে অনেকভাবে বদলে যেতে পারে। নিরবচ্ছিন্ন ভীতি আর এই ভীতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার স্নায়বিক ও শারীরবৃত্তীয় প্রচেষ্টা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে আর ক্ষতিগ্রস্ত করে তাদের শারীরিক, আবেগিক, আচরণগত, বুদ্ধিবৃত্তিক আর সামাজিক কার্যকারিতা।
‘নিরবচ্ছিন্ন সহিংস পরিবেশে বাস করা শিশুদের সহিংস হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। বিশেষ করে ছোট শিশুরা ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে থেকে আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে নিজেরাই সহিংস হয়ে উঠতে পারে। মূলধারার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস হারিয়ে ফেললে তারা এমনকি চরমপন্থার দিকেও ঝুঁকে পড়তে পারে’, বলা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরও বলায় হয়, সেভ দ্য চিলড্রেন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, বিদ্যমান সংকটের সাথে সম্পৃক্ত সকল পক্ষ শিশুদের সহিংসতার শিকার হওয়া এড়াতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে না। বরং শিশুদের নিরাপত্তা এবং সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একরকম দুঃখজনক ঔদাসীন্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন দেশের সকল শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ও তাদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে চলমান সংকটের সাথে সম্পৃক্ত সকল পক্ষের কাছে আহ্বান জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫