ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন ছবি: প্রতীকী

কুমিল্লা: কুমিল্লায় ডাকাতির পর তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক চমন চৌধুরী এ রায় দেন।



মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের মো. আবু তাহের ওরফে ছরু মিয়া (৫০), মো. আবদুস ছালাম লিটন (৩০) ও জহিরুল ইসলাম জহির (৪২)। তাদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।

যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- যশপুর গ্রামের মো. বাহার ওরফে রোজেন (৩১) ও মো. মিজানুর রহমান (৩৬),  নগরের ভাটপাড়ার মো. আরিফুজ্জামান ইমন (৩৫), আদর্শ সদর উপজেলার শিমপুর গ্রামের মো. আবদুল মান্নান এবং সাহেব আলী।

এদের মধ্যে মো. আবদুল মান্নান, সাহেব আলী ও মো. মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছেন।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ১ অক্টোবর মধ্যরাতে অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জনের একদল ডাকাত যশপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় তারা তোফাজ্জলকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘরে থাকা নগদ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে পরদিন তোফাজ্জলের ভাই হারুন উর রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর একই গ্রামের মো. আবদুস ছালাম লিটনকে আটক করে পুলিশ। প্রথমে লিটন এ ঘটনায় জড়িত নন মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম।

এরপর বাদী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দিলে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্যে মামলাটি কুমিল্লা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে দেওয়া হয়।

পরে সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. সিরাজুল হক ২০/২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলায় তোফাজ্জল হোসেনের সাড়ে চার বছরের মেয়ে ফারজানা আক্তারসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া একই মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ ও অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।