ঢাকা: আসছে গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের অব্যাহত চাহিদা পূরণে উৎপাদনে কোনো ঘাটতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে কমিটির ১০ম বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে প্রেসব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
কমিটির সভাপতি বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। তাই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আশা করি এবার গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদুৎতের উৎপাদনে ঘাটতি হবে না।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের দাম কোনদিনই সমন্বয় করা হতো না। তাই বর্তমানে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক পতন হওয়া সত্ত্বেও এখনই কোন পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। কারণ এই দরপতন কতদিন স্থায়ী হবে সেটা বিবেচনা করেই সমন্বয় করা হবে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশর সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা ব্যবহারের বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে ভারতের আগারগাঁও বড় গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। এ গ্যাস ক্ষেত্রে থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে স্বল্প খরচেই বাংলাদেশে আনা সম্ভব। এছাড়া মায়ানমার, বার্মা, নেপালেও এই সুযোগ রয়েছে। তাই যেসব দেশে স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব সেসব দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো গ্যাস নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া চলমান সহিংসতা থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটি সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আতিউর রহমান আতিক, মো. আবু জাহির, আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নাছিম), নাসিমা ফেরদৌসী প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫