পাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) ঘাট থেকে: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মাঝপদ্মায় রোববারের (২২ ফেব্রুয়ারি) লঞ্চডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ১১ যাত্রী।
এ পর্যন্ত উদ্ধারকৃত ৭০ মরদেহের মধ্যে ৬৯টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের প্রতিনিধি কামরুল হাসানের কাছে ওই মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন-মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবুল হোসেন হাসু, এলাচিপুর গ্রামের শেখ আফাজ উদ্দিনের ছেলে সোরহাব হোসেন, চরকুশণ্ড গ্রামের মান্নু পাগলা (৬৫), ঢাকার মহাখালী এলাকার ৭৫ নম্বর বাসার সামাদ হোসেনের ছেলে ব্র্যাক কর্মকর্তা মোস্তফা মাহফুজ, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দলিলপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের মেয়ে মারুফা খাতুন (৫), রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের সেকেন আলীর স্ত্রী অজিরুন্নেসা (৩৮), নড়াইলের লোহাগড়া এলাকার হাসেম আলীর স্ত্রী সাহেদা বেগম, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যাদবপুর গ্রামের মিলন শেখের স্ত্রী লিপি আক্তার (৪২), নড়াইলের আইয়ুব আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লম্বারচর এলাকার হামিদা বেগম (৫৫) ও ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার নুর ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (২৭)।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম গালিভ খান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে সারবোঝাই কার্গোর ধাক্কায় এমভি মোস্তফা-৩ নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এসময় লঞ্চটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল। এ দুর্ঘটনায় ৭০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫