ঢাকা: বিএনপি- জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের অবরোধ হরতালের পঞ্চাশ দিনে সরকারি মালিকানাধীন বিআরটিসির ৪০টি গাড়ি আগুন ও ভাংচুরের শিকার হয়েছে। আর ব্যক্তিমালিকানাধীন পরিবহন প্রায় ১৮শ’ মতো ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি ডিপোতে এক সভায় এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিআরটিসির দেয়া হিসেব অনুযায়ী দেখা গেছে, এর আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পযন্ত ৫ বছরে হরতাল অবরোধের কারণে তাদের ১২১টি বাস ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় ৪৬টি পুড়িয়ে দেয়া হয়। এভাবে ১৬১টি বাস ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে যায় অবরোধ হরতাল্। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৯.৫০ কোটি টাকা।
বিআরটিসির আরও তথ্যে জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অবরোধ হরতাল সহিংসতায় বাস ভাংচুর করা হয় ২৮টি আর ১১ টি বাস পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ও আগুনে পুড়ে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি দাঁড়ায় ৮২ লাখ কোটি টাকা।
এ নিয়ে ২০০৯ থেকে শুধু সরকারি মালিকানাধীন ২০৬টি বাস ক্ষতিগ্রস্থ ও আগুনে পুড়ে গেছে। যার আর্থিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১০.৩২ কোটি টাকা।
সরকারি মালিকানাধীন বাস পরিবহন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন(বিআরটিসি)’র চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হরতাল অবরোধ সহিংসতায় বিআরটিসি ক্ষতির পরিমাণ সাধারণ মানুষের ক্ষতির চেয়ে বেশি।
দেশে সরকারি বাসের তুলনায় ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসের সংখ্যা অনেক বেশি। বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনদের হিসাবে দেখা গেছে, হরতাল অবরোধে তাদের দিনে ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ৩শ কোটি টাকা। এ হিসেবে গত ৫০ দিনে ক্ষতির পরিমাণ হয় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
দু’দিন আগে বাংলানিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বিলাসবহুল বাস সেবাদানকারী গ্রিন লাইন পরিবহন মালিক মো. আলা উদ্দিন বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, তার ১০৪ টি বাস সড়কে চলতো। অবরোধ হরতালে বাস চলাচল সীমিত আকারে হওয়ায় এখন তিনি দিনে ক্ষতি গুণছেন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫