ঢাকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুল হাসান সরকার ও নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ শাহিন উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তারা ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ সাক্ষ্য প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৩ ও ৪ মার্চ বাকি সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১২তম সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষী কামরুল হাসান ঘটনার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কর্মরত থাকাকালীন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ জনের মধ্যে সামসুদ্দিন, লিটন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, আমিনুল ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত করেছিলেন।
সাক্ষী শাহিন উদ্দিন ঘটনার সময় ঢাকা সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন ৩ জন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। সে বিষয়ের তারা মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ মামলার জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম। তারা আদালতে হাজির ছিলেন।
অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৫ জন কারাগারে আছেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫