ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাধিক সংগঠনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মানববন্ধনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, একে একে ৭১ এর সব ঘাতকদের সাজা নিশ্চিত করা হবে। যারা এই দেশের বিরুদ্ধে লড়েছিল তাদের এই দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।
তিনি জামায়াতের ডাকা হরতালকে হাস্যকর উল্লেখ করে বলেন, যারা এক সময়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে তাদের বাঁচানোর জন্য হরতাল ডাকা হয়েছে। এটা সত্যিই হাস্যকর। তারা এতো দু:সাহস কোথা থেকে পায় তা খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াত বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ক্ষমতা দখল করার পাঁয়তারা করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।
সমাবেশে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে। রাজনীতির ছত্রছায়ায় থেকে এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এই শ্রেণির মানুষকে শনাক্ত করে শাস্তি দিতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি যতো দ্রুত কার্যকর হবে ততো দ্রুত জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় গর্ব বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে এরা সবচেয়ে জঘন্যতম কাজ করেছে। তাদের আরো আগে ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হরতাল-অবরোধের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মেরে বর্তমানে নির্বাসনে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫/আপডেট ১২১৭ ঘণ্টা
একে/জেডএফ/বিএস