ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ফিরে দেখা-২০১৫

পঞ্চগড়ে সড়কে ঝরে গেছে ২২ প্রাণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
পঞ্চগড়ে সড়কে ঝরে গেছে ২২ প্রাণ ছবি: প্রতীকী

পঞ্চগড়: বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বিদায়ী বছরে পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেক বেশি। ‍এ বছর জেলার সড়ক-মহাসড়কে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।



মূলত চালকের বেপরোয়া গতি ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

জেলার ৫টি উপজেলায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

১০ জানুয়ারি দুপুরে অসুস্থ শ্বশুরকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোবাইকের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ হারান ফিরোজা বেগম (৩৪) নামে এক গৃহবধূ।
একইদিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গাড়ি চাপায় রাতুল (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পঞ্চগড়-তেতুলিয়া মহাসড়কের ৪ মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

২৬ জানুয়ারি দুপুরে সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের আমলাহার বাজার এলাকায় ট্রাক্টর (মাহেন্দ্র) চাপায় আব্দুল কাদের (৩৫) নামে মোটরসাইকেলের এক আরোহীর মৃত্যু হয়।

একইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের হেলিপোর্ট এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় শাপলা আকতার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়।

৩০ জানুয়ারি দুপুরে তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের নতুন বস্তি এলাকায় মাহেন্দ্র উল্টে রজব আলী (৩০) নামে এক হেলপার নিহত হন।

৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের অমরখানা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় হারুন-উর-রশিদ (৩৪) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়।

১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের মাগুরমারী বাজারে ট্রাকের ধাক্কায় সানজিদ শাহ কালু (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়।

২১ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের রণচণ্ডি বাজার এলাকায় ট্রাকের চাপায় বায়েজিদ শাহ (৮) নামে একটি শিশু নিহত হয়েছে।

৪ মার্চ দুপুরে দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নের বটতলী এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গেলাম নুর (১৭) নামে এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়।

৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের বাংলাচণ্ডি এলাকায় মাহেন্দ্র চাপায় জাহাঙ্গীর (১৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হন।

২২ মে সকাল সাড়ে ১০টায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের চার মাইল এলাকায় ঘটে এ বছরের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর সড়ক দুর্ঘটনা।

ওইদিন ট্রাকের চাপায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৬ জন নিহত হন। পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী একটি ট্রাক জগদল বাজার থেকে পঞ্চগড়ের দিকে আসা ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে এ ঘটনা ঘটে।

১ জুন বিকেলে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহসড়কে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হুলাসুজোত এলাকায় ট্রাকচাপায় জুলেখা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।

১৯ জুন বিকেল সাড়ে ৩টায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের কালুরহাট এলাকায় ট্রাকের চাপায় মুসা হক (৩২) নামে থ্রি-হুইলারের এক যাত্রী নিহত হন।

৩০ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় জেলা সদরের পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের দশমাইল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাসুদ হায়দার সেতু (৩০) নামে ছাত্রলীগের এক নেতা নিহত হন।

১৩ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার স্টেডিয়াম মোড়ে ট্রাকের চাপায় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ইউনুস আলী নিহত হন।

২২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বোদা-দেবীগঞ্জ মহাসড়কের চন্দনবাড়ি এলাকায় ট্রাকের চাপায় আব্দুল খালেক (৪৯) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের আমতলা কাজীপাড়া এলাকায় অটোরিকশার ধাক্কায় পায়েল আক্তার সুমি (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।

পঞ্চগড় জেলা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর সভাপতি মো. রাবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চালকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন সড়কে চলাচল ও জনসাধারণের অসাবধানতায় এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এসআর/ এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।