শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে তাদের শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শুক্রবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ৩ পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। শেষ পর্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানতে পারে যে, একটি চক্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে। তারা পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভর্তি পরীক্ষার শেষ সময়ে শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার গোলাববাগ এলাকা থেকে ৫ জন ও মধ্য শহরের স্টার হোটেল থেকে ৩ জনসহ ওই চক্রের ৮জন সদস্যকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।
আটক যুবকরা পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থেকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র সরবরাহ করছিল। ৮ জনের মধ্যে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী ছাড়াও পাবনার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আউয়াল কবির জয় জানান, আটক যুবকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন মনিরা ২ জনকে ২ বছর ও অন্যদের একমাস করে কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-শরীফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, খালিদ হোসেন, মো. মৃদুল হোসেন, রাকিব হোসেন, তারেক হোসেন তুষার, মাহবুবুল আলম ও শাহরিয়ার আহমেদ।
এদের মধ্যে রাকিব ও খালিদকে দুই বছর এবং বাকি ৬ জনকে ১ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু ডিভাইস, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ