ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের সব উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ আছে সশস্ত্র বাহিনীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
দেশের সব উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ আছে সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: আইএসপিআর

ঢাকা: দেশের যেকোনো উন্নয়ন কাজেই সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও কাজ করছে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যখনই সরকার গঠন করেছি, চেয়েছি সশস্ত্র বাহিনীকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে।

সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে আমরা সবশেষ প্রযুক্তি ও আধুনিক সরঞ্জামাদির সরবরাহ নিশ্চিত করেছি এবং সর্বোত্তম প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ স্থাপনা তৈরি করেছি। একটি পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। কোর্সে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ছবি: আইএসপিআর‘আমরা সদ্য পরিবর্তনশীল সশস্ত্র বাহিনীর সামর্থ্যকে পুনর্মূল্যায়ন করে যাচ্ছি এবং একবিংশ শতাব্দীর বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ফোর্সেস-গোলের আলোকে সব পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা সদা সচেষ্ট। ’

দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কাজ করছে। দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও অগ্রভাগে থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। কোনো কঠিন কাজে দরকার পড়লেই এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী।

সরকারের উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কেবল শহরভিত্তিক নয়, গ্রামভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।

এ বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৯ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, নৌবাহিনীর ৫ জন কমোডর এবং বিমান বাহিনীর ২ জন এয়ার কমোডর ও ৩ জন গ্রুপ ক্যাপ্টেন, সিভিল সার্ভিসের ১১ জন (যুগ্ম-সচিব), পুলিশের ২ জন ডিআইজি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ ডিজিসহ মোট ৫৩ জন প্রশিক্ষণার্থী ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। এই কোর্সে ভারতের ৩ জন, শ্রীলঙ্কার ৩ জন, নাইজেরিয়ার ১০ জন, সৌদি আরবের ২ জন এবং মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজার, ওমান, পাকিস্তান, তানজানিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের একজন করে মোট ২৭ জন বিদেশি প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।

আর আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, নৌবাহিনীর ১ জন ক্যাপ্টেন ও ৪ জন কমান্ডার, বিমান বাহিনীর ৪ জন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও ১ জন উইং কমান্ডার অংশ নেন।

দীর্ঘ প্রায় এক বছর কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এ দু’টি কোর্স সফলভাবে শেষ করায় প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।