রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বাঘটি অবমুক্ত করেন হবিগঞ্জের সহকারী (এসিএফ) এজেডএম হাসানুর রহমান ও চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভময় বিশ্বাস।
এর আগে রোববার সকালে উপজেলার জাতুকর্ণপাড়ায় স্থানীয়দের ফাঁদে আটকা পড়ে বাঘটি।
পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমে বাঘ ধরা পড়ার বিষয়টি প্রকাশের পর বনবিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাতে বাঘটি উদ্ধার করে সাতছড়িতে অবমুক্ত করা হয়।
ওই এলাকার শিক্ষানবিশ আইনজীবী দিদারুল আলম সৌরভ বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ১৫ ঘণ্টা বন্দি থেকে কিছু না খেয়ে বাঘটি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পরে প্রকৃতির শোভা এই বন্য প্রাণীটিকে নিজের ঠিকানায় অবমুক্ত করতে পেরে আমি আনন্দিত।
ওসি শুভময় বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, বাঘটি সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) অবমুক্ত করার কথা ছিল। কিন্তু বন্দি অবস্থায় থেকে সে কিছু খাচ্ছিল না। তাই বনবিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে রোববার দিবাগত রাতেই বাঘটি অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হবিগঞ্জের উপ-বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এখন হাওরাঞ্চলের পানি কমতে শুরু করেছে। মাছ খাওয়ার উদ্দেশে হয়তো মেছো বাঘটি বনাঞ্চল থেকে সেখানে গিয়েছিল। আমরা সেটিকে দ্রুত অবমুক্ত করেছি।
জাতুকর্ণপাড়া এলাকার শুটকি নদীর বাঁধে বেশ কয়েকটি হাঁসের খামার থেকে প্রায় প্রতিদিনই হাঁস ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো মেছো বাঘটি। পরে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে স্থানীয় আরাফাত আলী, মামুন ও শাহেদ মিয়া মিলে একটি ফাঁদ পেতে রাখেন খামারের কাছে। রাতে না এলেও পরের দিন সকালে মেছো বাঘটি এসে ফাঁদে আটকা পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
টিএ
