ঢাকা: ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ফতোয়াবাজদের নির্দেশে ১০১ দোররার শিকার তরুণীর সামাজিক, পারিবারিক ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে তরুণীটিকে আজ আদালতে হাজির করা হলে দুই বিচারক তাকে খাস কামরায় ডেকে তার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
পরে তরুণীটির পারিবারিক, সামাজিক ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্রাক্ষণবাড়িয়ার এসপি ও বাঞ্ছারামপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২৪ মে একই বেঞ্চ তরুণীটিকে আজ ২ জুন পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ আদালতে হাজির করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ জারি করেন।
ওই দিন ফতোয়া ও শরিয়া আইনে বিচারের নামে শাস্তি দেওয়া কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি একটি রুলও জারি করেন আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন সচিবকে এক সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার পর্যন্ত রুলের জবাব না পাওয়ায় এর অগ্রগতি আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানানোর জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তরুণীকে ১০১ দোররা, গ্রেফতার ৪’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মামলাটি দাযের করা হয়।
২৪ মে মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মাহমুদ হোসেনের বেঞ্চ এসব নির্দেশ দেন।
ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক, কে এম হাফিজুল আলম এবং ইমরানুল হাই সজিবের দায়ের করা রিটের শুনানির পর হাইকোর্ট তরুণীটির নিরাপত্তা ও সামাজিক সম্মানের স্বার্থে কোনো প্রতিবেদনে তার নাম ও ছবি প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকেও নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময় ১৮১১ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১০