বুধবার (১৪ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতালের ভেতর থেকে তাকে আটক করা হয়।
রফিক মিয়া করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাটিগাংগাটিয়া গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বামুনকান্দি গ্রামের প্রয়াত দিনমজুর ছনু মিয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তারকে প্রেম করে বিয়ে করেন রফিক মিয়া। মুক্তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়েতে রাজি হলেও ছেলের বাবা এ বিয়েতে রাজি হয়নি। এরপরও রফিক তার স্ত্রী মুক্তাকে নিয়ে পশ্চিম ভাটিগাংগাটিয়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুক্তাকে যৌতুকের জন্য চাপ দেন এবং নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে মুক্তার পরিবার যৌতুক হিসেবে এক লাখ টাকার আসবাবপত্র কিনে দেয়। এরপরও মুক্তার ওপর নির্যাতন কমেনি। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রান্না করার সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুক্তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মুক্তার মুখ, পিঠ, ঘাড়, পেট হাতসহ শরীরের ৯০ ভাগ অংশ পুড়ে যায়। এরপর বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে মুক্তা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মুক্তার মা লুৎফুন্নেছা বেগম বাংলানিউজকে জানান, রফিকের পরিবার আরও যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের পুরো টাকা দিতে না পারায় তার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, মুক্তার শরীরের ৯০ ভাগ অংশই পুড়ে গেছে। সময়মতো হাসপাতালে না আনায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এনটি