বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) ভোরে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত পেট্রোল পাম্পের পাশ থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। বর্তমানে ওই কলেজছাত্রী কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের হরিশ্বর কালোয়া গ্রামের মাসুদ রানা (২৪), হৃদয় হাসান সুমন (১৮) ও তারপদ (২০) নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা ওই কলেজছাত্রী জানায়, তার প্রেমিক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম গ্রামের অটোচালক রহমান আলীর ছেলে কামরুল ইসলামের (২২) সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক কলেজ শেষে বিকেলে স্থানীয় কলেজ মোড়ের মেলায় সময় কাটিয়ে প্রেমিকের কথামতো রাত সোয়া ৮টার দিকে সদরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত পেট্রোল পাম্পে অবস্থান নেয় ছাত্রীটি।
প্রেমিক কামরুল কুড়িগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসে নির্ধারিত স্থানে তার কাছে আসার কথা ছিল। সেখানে ব্যাগসহ একা পেয়ে আগে থেকে অনুসরণ করা তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন যুবক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরো কয়েকজন। নির্যাতনের একপর্যায়ে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে মাঝরাত আড়াইটার দিকে জ্ঞান ফিরে পেলে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রওশন কবির বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন ও তারপদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এফইএস/এনটি