সোমবার (২৭ আগস্ট) দিনগত রাতের কোনো এক সময় নরসিংদী পৌরসভার দত্তপাড়ার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে নিহাত। দত্তপাড়ার কবির আহাম্মেদের ছেলে নিহাত নরসিংদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনায় হত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার মামলা করেছেন তার বাবা। মামলায় আসামি করা হয়েছে পাঁচজনকে। এর পরপরই স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে আসছেন বলে দাবি করেছেন নিহাতের স্বজনরা।
নিহতের বাবা কবির আহাম্মেদ বলেন, ঈদের সোমবার বিকেলে নিহাত বন্ধুদের নিয়ে পাশের বাড়ির বারবি কিউ পার্টি করতে যায়। একই সময় এলাকার সন্ত্রাসী তুষার, জুম্মান, রাব্বি ও রুপক সেখানে যান। এসময় নিহাত তাদের চলে যেতে বলে তারা রাজি হননি। ওই সময় বাড়ির মালিক সবাইকে ছাদ থেকে নামিয়ে দিলে নিহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হন সন্ত্রাসীরা। এর জের ধরে সন্ত্রাসীরা নিহাতকে মারপিট করেন। খবর পেয়ে নিহাতের মা-বাবা ও দাদা-দাদি সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও মারপিট করেন। লজ্জায়, রাগে পরে রাতেই নিহাত আত্মহত্যা করে।
মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথপোকথনের সময় সে বলেছে, আমি এখন ফাঁসিতে ঝুলবো। কারণ, তারা আমাকে মার্ডার করে ফেলবে। সন্ত্রাসীরা আমার আব্বুকেও অপমান করেছে। আমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবো। দেখা হবে কবরে।
নরসিংদী শহর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এসআই