মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ভূ-খণ্ডে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমঅধিকারে বসবাস করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতারও মূল লক্ষ্য ছিল সব ধর্মের মানুষ এদেশে তার সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে।
২০০১ পরবর্তী বিএনপি জামায়াত সরকারের আমলের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সারাদেশে বিএনপি জামায়াত সীমাহীন সন্ত্রাস- নৈরাজ্য, সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। কি হিন্দু, খ্রিষ্টান কি মুসলিম, কি বৌদ্ধ- কোনো ধর্মের মানুষই তাদের সন্ত্রাস থেকে রেহাই পায়নি।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা আজকে সে অবস্থা থেকে দেশকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছি যেখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে তাদের ধর্ম কর্ম করতে পারছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুরোহিত প্রশিক্ষণ, সারাদেশে মন্দির-উপাসনালয় সংস্কারে তার সরকারের ২শ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ, হিন্দু নারীদের পিতার সম্পত্তির ওপর অধিকার, হিন্দু বিবাহ রেজিষ্ট্রি বাধ্যতামূলক এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন পাশে সরকারের উদ্যোগসহ প্রতিটি ধর্মের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠন এবং বিভিন্ন ধর্মের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালনের জন্যই শ্রীকৃষ্ণ এ ধরায় এসেছিলেন, সব ধর্মেরও মূল কথা ঐ একই- মানুষের কল্যাণ, মানব কল্যাণ করা।
মানব ধর্মই সব থেকে বড় ধর্ম উল্লেখ করে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া হাতে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানান সনাতন ধর্মীয় নেতারা।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ,মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মধ্যে মিলন কান্তি দত্ত, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন পাল, বিমল কান্তি দে, মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ দে, দেবাশিষ পালিত, সুব্রত পাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এমইউএম/এএটি