এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আঙ্গুর মিয়াসহ পরিবারের লোকজন ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন। তবে ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আঙ্গুর মিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিরীনা বেগমকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গ্রাম থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও রুমার স্বজনরা জানান, তিন বছর আগে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের তরফ সাদুল্যাপুর গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে রুমানার সঙ্গে একই ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে আঙ্গুর মিয়ার বিয়ে হয়। আঙ্গুর মিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও বর্তমানে অটোরিকশা চালান। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকাসহ নানা বিষয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। এ কারণে প্রায়ই স্ত্রী রুমানাকে মারধর করতেন আঙ্গুর। সোমবার বিকেলে রুমানাকে মারধর করেন আঙ্গুর। এতে রুমানা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির উঠানে রুমানার মরদেহ দেখতে পায় প্রতিবেশিরা।
রুমানা বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের সময় এক লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয় আঙ্গুরকে। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র ও কিছুদিন আগে আঙ্গুরকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনে দেওয়া হয়। কিন্তু আঙ্গুর মিয়া রুমানার কাছে আরও যৌতুকের টাকা দাবি করেন। এনিয়ে আঙ্গুর রুমানাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। সোমবার বিকেলে রুমানাকে বেদমভাবে মারধর করে আঙ্গুর। একপর্যায়ে রুমানাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির উঠানে রেখে পালায় আঙ্গুর। রুমানাকে পরিকল্পিতাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে রুমানা আত্মহত্যা করেছে বলে অপ্রচার চালায় আঙ্গুর ও পরিবারের লোকজন।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এমরানুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্বামী আঙ্গুর ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। তবে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সাদুল্যাপুর থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময় ০১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এএটি