বেলা পৌনে ১১টার দিকে পর্দা উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিএমপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। নতুন গঠিত আটটি থানা এলাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করলো জিএমপি।
উদ্বোধনের পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গাজীপুর সিটিকে সেফার সিটি, বেটার সিটি গঠনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় মাদক ও জঙ্গি নির্মূল এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠনের প্রায় চার বছর পর ২০১৭ সালের অক্টোবরে গঠিত হয় জিএমপি। এর প্রায় ১০ মাস পরে ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জিএমপি লোগো চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে ১৯ এপ্রিল জাতীয় সংসদে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন-২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এ উপলক্ষে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইন থেকে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের সঙ্গে সকাল পৌনে ১০টায় সংযুক্ত হন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শাসসুন্নাহার, গাজীপুর সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান ও লিপি আক্তার নামে এক গার্মেন্টসকর্মী সরাসরি কথা বলেন।
উদ্বোধনী কার্যক্রম শেষে সিটি এলাকায় বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গাজীপুর পুলিশ লাইনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলী, গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতার উজ্জামান, গাজীপুর সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
ইতোমধ্যে জিএমপিতে ১ হাজার ১৫২ জনের লোকবলও নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের পদায়ন, থানার জন্য ভবন ভাড়াসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত আটটি থানার আয়তন নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জিএমপির নতুন থানা ও এর অধিভুক্ত এলাকা সমূহ হলো- সদর থানার অধিভুক্ত সিটির ওয়ার্ডগুলো হলো-১৯, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১। বাসন থানার অধিভুক্ত ওয়ার্ডগুলো হলো- ১৩, ১৪, ১৫, ১৬,১৭, ১৮, ২০, ২১ ও ২২। কোনাবাড়ি থানার অধিভুক্ত ওয়ার্ডগুলো হলো- ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২। কাশিমপুর থানার অধিভুক্ত ওয়ার্ডগুলো হলো- ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬। গাছার অধিভুক্ত ওয়ার্ডগুলো হলো- ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫,৩৬, ৩৭ ও ৩৮। পূবাইল থানার অধিভুক্ত ওয়ার্ডগুলো হলো- ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২। টঙ্গী পূর্ব থানার অধিভুক্ত ওয়ার্ডগুলো হলো- ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭ (শালিক চূড়া পূর্ণ ও গাজীপুরা পূর্ণ), ৪৮, ৪৯, ৫০ (আংশিক), ৫৫, ৫৬, ও ৫৭ (আংশিক) এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা সিটির ৫০ (আংশিক), ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৫ (আংশিক) ও ৫৭ (আংশিক)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আরএস/আরবি/