রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন লোকাল বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা পরিবহনের কোনো বাস চলাচল করছে না। বিআরটিসি বাস চলাচল করলেও তা যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে পারছে না।
সরেজমিনে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেখা যায়, রংপুর থেকে বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধাগামী কোনো বাস চলাচল করছে না। বাসচালক ও শ্রমিকেরা অলস সময় পার করছেন খোশগল্প করে।
এদিকে মেডিকেল মোড় বাস স্ট্যান্ড থেকে নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওগামী সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামগামী লোকাল বাসও চলছে না। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু’একটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
সাধারণ যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ভেঙে ভেঙে অটোরিকশা বা স্বল্পপাল্লার যানবাহনে চলাচল করছেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে মেডিকেল মোড় এলাকায় কথা হয় ঢাকা থেকে আসা পঞ্চগড়গামী এক নবদম্পতির সঙ্গে। তারা বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে এখানে বাসের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু কোনো বাস পাচ্ছি না। এতোগুলো ব্যাগ-বস্তা নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছি। কি করবো বুঝতে পারছি না।
দিনাজপুরগামী আরেক অপেক্ষারত যাত্রী নাসিমা বেগম বাংলানিউজকে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, হামরা হইনো ফুটবলের মতো। সবায় খালি সটায়ে নিয়া বেড়ায়। কেউ হামার কস্ট বোঝে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসচালক বাংলানিউজকে বলেন, নতুন সড়ক আইনের প্রতিবাদে অঘোষিতভাবে আমরা বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে রংপুর মটর শ্রমিক সমিতির সাধারণ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তারা হয়তো নতুন আইনের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তাদের কাজে ফেরানোর চেস্টা চালাচ্ছি।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ আহত বা নিহত হলে দণ্ডবিধির ৩০৪ (খ) ধারায় মামলা দায়ের হবে। আর এই ধারায় সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। বর্তমান এই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এএ