ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে ২ নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
সিলেটে ২ নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার

সিলেট: সিলেটে দুই নারী ও শাবিপ্রবির এক শিক্ষার্থীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) পৃথক স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে শহর থেকে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান প্রতীকের (২৫) মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

সদর উপজেলার খাদিমনগরের একটি ছড়া থেকে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ উদ্ধার করে অজ্ঞাতপরিচয় (৬০) এক বৃদ্ধার মরদেহ।  

এছাড়া সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে ফরহাদ আহমদ (২৫) নামে এক দিনমজুরের ঝুলন্ত মরদেহ ও উপজেলার মেহেরপুর গ্রাম থেকে খালেদা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।  

সোমবার বিকেলে সিলেট শহরের কাজলশাহ এলাকার একটি বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শাবিপ্রবির ছাত্র প্রতীকের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত প্রতীক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সিলেটের কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহের সুরতহাল বলছে, প্রতীক আত্মহত্যা করতে পারেন।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর পুরাবাড়ী ছড়া থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের দেখানো মতে, ছড়ার পানিতে পড়ে থাকা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসএমপির এয়ারর্পোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে কি কারণে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তারা।

এদিকে, সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফরহাদ নামে এক দিনমজুরের ঝুলন্ত ও খালেদা নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী (যোগালি) ফরহাদ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউপির ফুলবাড়ী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত তালন আলীর ছেলে।

নিহতের স্বজনদের বরাদ দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার (১৩ জানুয়ারি) রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ফরহাদ। সোমবার বাড়ির পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মরদেহ উদ্ধারে যান গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মনজুরুল ইসলাম। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ওই হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

একইদিনে এক সন্তানের জননী খালেদা নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। খালেদা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের রুপশপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, লামামেহেরপুর গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় খালেদাকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মানসিক বিকারগ্রস্ততা থেকে খালেদা নিজেই গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন!

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ফজলুল হক শিবলী বাংলানিউজকে বলেন, দিনমজুর ও গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।