ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সময়-ব্যয় বাড়ছে ফেনী-নোয়াখালী চার লেন প্রকল্পে

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
সময়-ব্যয় বাড়ছে ফেনী-নোয়াখালী চার লেন প্রকল্পে চার লেন সড়ক।

ঢাকা: ৫২৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ছে ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত চার লেন উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে। একই সঙ্গে প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুন মাসে উন্মুক্ত করার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। অথচ নানা কারণে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪৯ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার।

প্রকল্প এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ, ধর্মীয় উপাসনালয় পুনঃনির্মাণ, কবরস্থান, শ্মশান স্থানান্তর, ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ, বাসবে নির্মাণ ব্যয় বাড়ার কারণেই প্রকল্পের সময়-ব্যয় বাড়ছে বলে জানায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
 
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রকল্পের আওতায় নতুন নতুন খাত যোগ হয়েছে।

ফলে কাজগুলো সম্পন্ন করতে আরও কিছু সময়-ব্যয় প্রয়োজন। এখন প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে আছে। সামনে এটা নিয়ে সভা হবে।
 
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর পর্যন্ত অংশ চর লেনে উন্নীতকরণের মাধ্যমে নিরাপদ ও যানজটমুক্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো, গাছপালা, ফসলের ক্ষতিপূরণ বাজার মূল্যের অতিরিক্ত শতকরা ১০০ ভাগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 
প্রকল্পটি যখন হাতে নেওয়া হয়, তখন ধর্মীয় উপাসনালয় পুনঃনির্মাণ, কবরস্থান, শ্মশান স্থানান্তর বাবদ কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি। ফলে নতুন করে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় প্রথমে চারটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের কথা উল্লেখ ছিল। প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে আরও দু’টি ফুটওভারব্রিজ যুক্ত করার ফলে ব্যয় বাড়ছে।

প্রকল্পের আওতায় নোয়াখালী জিলা স্কুল এবং একলাশপুর হাই স্কুলের সামনে দু’টি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় বেড়ে হচ্ছে ৭ কোটি ৬৯ লাখ। প্রথমে চারটি ফুটওভারব্রিজ বাবদ ব্যয় ছিল ৫ কোটি ৪ লাখ টাকা।
 
আরসিসি ড্রেন নির্মাণ বাবদও ব্যয় বাড়ছে। পৌর এলাকায় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা চলমান রাখার জন্য বিদ্যমান নালার স্থলে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রথমে এ খাতে কোনও ব্যয় ধরা হয়নি। নতুন করে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ বাবদ ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
 
ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় হ্রাসের জন্য সরকারি ভূমি অধিক ব্যবহারের লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার ভিত্তিতে সরকারি নিচুভূমি ও ডোবার নিকটবর্তী স্থান সড়ক প্রশস্তকরণ করা হচ্ছে। এ খাতেও বাড়তি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
 
প্রকল্পের মাইজদী এলাকায় নতুন করে একটি বাসবে নির্মাণ করা হবে। ফলে এ খাতেও নতুন করে বরাদ্দ রাখায় প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ছে। প্রকল্পের আওতায় নানা ধরনের ইউটিলিটি শিফটিং ও পেভমেন্ট নির্মাণ খাতেও ব্যয় বাড়ছে।
 
এছাড়াও অতিরিক্ত ৯টি সরু কালভার্ট প্রশস্তকরণ, রোড মিডিয়ান, রোড মার্কিং, রোড মার্কিং পেইন্ট, ট্রাফিক সাইন, দিক নির্দেশনা সাইন ও প্রকল্পের পৌর এলাকায় সাইন সিগন্যাল পোস্ট নির্মাণের কারণে ব্যয়-সময় বাড়ছে।
 
ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সড়কাংশটি খুবই ব্যস্ত। এই সড়কের পাশে নোয়াখালীর মূল শহর, সরকারি দফতর, নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, ব্যাংক, এনজিও প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে।
 
অন্যদিকে সোনাপুর থেকে রাজধানী ঢাকা, কুমিল্লা এবং অন্যান্য জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সড়কটি ব্যবহার করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এমআইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।