শনিবার (০৭ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে গুলশান ৩৫ নম্বর রোডে বিদ্যুস্পৃষ্ট হন আল আমিন। আর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভবন থেকে পড়ে যান মনিরুল।
আল আমিনের সহকর্মী রানা বাংলানিউজকে বলেন, বিকেলে গুলশান ৩৫ নম্বর রোডে নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে কাজ করছিলাম আমরা। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আল আমিন। তিনি ওই ভবনেই থাকতেন। রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন আল আমি। তার বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করা হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঘোষণা করেন তিনি মৃত।
এদিকে, মনিরুলের সহকর্মী জাহিদুল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ডেমড়া বাদশা মিয়া রোডে একটি নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনে কাজ করছিলাম। সকালে ছাদে কাজ করার সময় নিচে পরে গুরুতর আহত হন মনিরুল। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জাহিদুল আরও বলেন, মনিরুলের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়। তার বাবার নাম অলিয়ার রহমান। যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে থাকতেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২০
এজেডএস/টিএ