শনিবার (৭ মার্চ) ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কনস্যুলেটের অনুষ্ঠানে ইস্তাম্বুলে বসবাসরত বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক চস্কুনাইদিন জানান, ইতোমধ্যেই তিনি তুর্কি ভাষায় অনূদিত ′বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনী′ বইটি পড়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সংগ্রাম তাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন, দর্শন, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ববাসীর জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।
অ্যাডভোকেট উরাচিন জানান, তিনি ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বের কথা শুনেছেন, যা তাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশীরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, তারা বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা পেয়েছে, যিনি তাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।
আলোচনার শুরুতে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ কালজয়ী ভাষণটি আজ বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। উনেস্কো এ ভাষণটিকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজের মর্যাদা দিয়েছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের করেছে গর্বিত ও আনন্দিত। এ দিবসটি আজ এক নতুন মাত্রা পেয়েছে, কারণ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সময়কে সরকার ′মুজিববর্ষ′ হিসেবে ঘোষণা করেছে ।
কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম ′মুজিববর্ষ′ উদযাপনের নিমিত্তে মিশন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মসূচির ওপর আলোকপাত করেন, যার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টতা, গোলটেবিল আলোচনা, ছবি প্রদর্শনী, রোড শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় রিপোর্ট বা সংবাদ প্রকাশ করা ।
আলোচনার প্রারম্ভে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের ভিডিও-ও প্রদর্শন করা হয় ।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
টিআর/এইচজে