ফেনী: ফেনী শহরে গত শনিবার রাতে কালিপাল গাজীগঞ্জ মহাপ্রভুর আশ্রম, ট্রাংক রোড ও বড় বাজারের কালিমন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় র্যাবের একটি, পুলিশের দুটি ও মন্দির কমিটির একটি মামলায় অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৬শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ট্রাংক রোডের জয়কালি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে এ মামলায় সন্দেহভাজন ফেনী পৌরসভার শাহীন একাডেমি মনু ভিলার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মিয়াজীকে (২১) গ্রেফতার করে। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগের লদুয়া কানকির হাট এলাকায়।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন চারজন। তারা হলেন—লক্ষ্মীপুর সদর উপজলার মাওলানা পাড়ার ফেনীতে হোটেল ম্যানেজার মো. সোহেল (২৬), বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের কাকড়াতলীর (বর্তমানে ফেনীর উকিলপাড়া) মো. রোমান শেখ (১৬), ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া কটুমিয়া ভূঁঞা বাড়ীর মোয়াজ্জেম হোসেন (৩২) ও সাইফুল ইসলাম (৩৮)।
এছাড়া একই ঘটনায় র্যাবের দায়ের করা মামলার আসামি ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ার মেহেদী হাসান মুন্নাকে (২২) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
নতুন গ্রেফতার ৬ জনকে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ফেনীতে মন্দির, আশ্রম ও দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ মামলায় ১২ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনির হোসেন জানান, র্যাব ও পুলিশ ও মন্দির কমিটির পৃথক মামলায় গত তিনদিনে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে চারটি। প্রথম গ্রেফতার ৬ জনের রিমান্ড শুনানি আগামী সপ্তাহের সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২১
এসএইচডি/এমজেএফ