নীলফামারী: চলন্ত ট্রেনে ছোড়া পাথরের আঘাতে আহত শিশু আজমীরের চোখের আলো নিভে গেছে।
ফলোআপ চিকিৎসা করাতে গিয়ে চিকিৎসকরা এমনটি জানিয়েছেন।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে এই তথ্য জানান শিশুটির বাবা মারুফ ইসলাম।
তিনি জানান, সৈয়দপুর শহরে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে ডোমার থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সৈয়দপুর ফিরছিলেন। সৈয়দপুর রেলস্টেশনের হোম সিগন্যালের কাছে হঠাৎ বাইরে থেকে আসা পাথর তার ছেলের ডান চোখে আঘাত করে। এসময় তার ছেলের চোখ ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এমন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য আজমীরকে সৈয়দপুর রেলস্টেশনের এক পুলিশ সদস্যের সহযোগিতায় প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রাশেদুল ইসলাম মাওলার শরণাপন্ন হলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য আজমীরকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।
রাজধানীর ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আজমীরকে নেওয়া হয়। সেখানে চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছেলের চোখের আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করান।
পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে চিকিৎসকেরা জানান, আজমীরের ডান চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।
পরিবারটি চিকিৎসা ভার মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন অথচ কোনো কর্মকর্তাই খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বিশ্বাস জানান, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কিছু তরুণকে আটক করেছিলাম। তারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে তদন্তে বেরিয়ে আসায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, মূলহোতাদের গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে ট্রেনে পাথর ছোড়া বন্ধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২১
এএটি