ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তাজগীরের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল বসুন্ধরা গ্রুপ  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
তাজগীরের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল বসুন্ধরা গ্রুপ   তাজগীর হোসেন

কুমিল্লা: ভ্যানে করে গাছের চারা বিক্রি করে মেডিক্যালে চান্স পাওয়া কুমিল্লার তাজগীর হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।  

এবারের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তাজগীর।


 
তাজগীর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চকলক্ষ্মীপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে। তিনি জেলার লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের খুন্তা গ্রামের নানাবাড়িতে বসবাস করেন। ২০১৭ সালের মার্চে তাজগীরের মা তাছলিমা বেগমের মৃত্যু হয়। মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণে ক্লাসের ফাঁকে আর ছুটির দিনে ভ্যানে করে গাছের চারা বিক্রি করে মাধ্যমিকের খরচ বহন করেছেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকে খরচ বেড়ে যাওয়ায় পাশাপাশি শুরু করেন সকাল-বিকেল টিউশনি। গত ১ এপ্রিল মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন তাজগীর। জাতীয় মেধাতালিকায় ২৫৯৫তম হয়ে তাজগীর খুলনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। তাজগীরকে নিয়ে বাংলানিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে এলে তাজগীরের পড়াশোনার দায়িত্ব নেয় দেশের শীর্ষ শিল্প গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

সোমবার বিকেলে শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান কথা সাহিত্যিক ও বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলনের বরাত দিয়ে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। তার সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কুমিল্লার মেধাবী শিক্ষার্থী তাজগীর হোসেনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ভর্তি থেকে শুরু করে তাজগীরের ডাক্তার হওয়া পর্যন্ত সব খরচের দায়িত্ব নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।  

তাজগীর হোসেন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ আমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে, এ খবর আমার জন্য অনেক আনন্দের। মায়ের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসায় বসুন্ধরার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। আমি মানবিক ডাক্তার হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করতে চাই।  

তাজগীর লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেন।  

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিতা সফিনাজ বলেন, তাজগীর হোসেনদের মতো শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত থেমে যেতে হয়। এরই মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছে। এমন মানবিক উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।