ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দুপুরের মধ্যে শেষ করতে হবে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
দুপুরের মধ্যে শেষ করতে হবে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান  ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।  

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।


 
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার রমজানের মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তাই কোনো খাবার দোকান খোলা থাকবে না। রমজান চলমান থাকায় এবার দুপুর ২টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। দুপুর ১টার পর কাউকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে তল্লাশি করা হবে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ এলাকা নজরদারিতে রাখা হবে।  

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাঙালির প্রাণের উৎসব, বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বর্ষবরণ আয়োজন করা হয়েছে। সীমিত আকারে এবার আয়োজন হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষবরণে অন্যান্য বছর থেকে এবার একটু ভিন্নতা থাকবে। এবার রমজানের কারণে পান্তা ভাত ও মেলায় খাবারের এ আয়োজন থাকছে না। অনুষ্ঠানটি সীমিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে মানুষ এখান থেকে বের হয়ে খুব সহজে বাড়ি ফিরে ইফতার করতে পারেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট থাকবে। যেখানে প্রত্যেকটি মানুষকে চেকের ভেতর দিয়ে এ এলাকায় প্রবেশ করতে হবে। এ এলাকায় সব যানবাহন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন থাকবে। আজ ও আগামীকাল পর্যন্ত পুরো এলাকা সার্চ করা হবে। পাশাপাশি পুরো চত্বর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। পুরো এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত, ডগ স্কয়াটের পাশাপাশি রমনার লেকে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মোতায়েন থাকবে।

ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেখানে অনেক মানুষ একত্রিত হয় সেখানে নারীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আসা আমাদের মায়েরা, বোনেরা ও সন্তানরা ইভটিজিং ও খারাপ আচারণের শিকার হন। সেটি চিহ্নিত করার জন্য আমাদের সাদা পোশাকে উল্লেখযোগ্য সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে।

ছোট শিশুদের না আনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এ এলাকায় শিশুদের না আনার অনুরোধ করছি, কারণ এ এলাকায় খাবারের কোনো দোকান খোলা থাকবে না। মুখোশ পরে আসা যাবে না। উচ্চ শব্দ তৈরি করে এমন বাদ্যযন্ত্র আনা যাবে না।

মঙ্গল শোভাযাত্রায়
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখের বিশেষ আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হলে আগে চেকিং হয়ে প্রবেশ করতে হবে। মাঝ রাস্তায় চাইলেই কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সদস্যরা কঠোর আচারণ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বেলা ১১টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে হবে। আর দুপুর ২টার মধ্যে রমনা এলাকায় মেলা গুটিয়ে ফেলতে হবে। দুপুর ১টার পরে প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পুরো এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২, আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা
এসজেএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।