ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রকৌশলী-শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৬ জনের নামে দুদকের মামলা  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
প্রকৌশলী-শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৬ জনের নামে দুদকের মামলা
 

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় স্কুল সংস্কারের নির্ধারিত কাজ না করেই বিল ভাওচার দেখিয়ে বরাদ্দের সব টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলামের আদালতে মামলা দু’টি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন।

মামলা দু’টির মধ্যে মামলা নং ০৬ এর বিবাদীরা  হলেন-উপজেলার মাছুয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একতারপুর গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের ছেলে বিবর্ণ কুমার বিশ্বাস (৫৪), ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি স্থানীয় বাসিন্দা আমানত আলী বিশ্বাসের ছেলে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার (৫১), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি খোকসা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুস সামাদ (৪৮) ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ বেলাল (৫১)।

মামলা নং ০৭ এর বিবাদীরা হলেন- উপজেলার মামুদানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা মনীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে অসীম কুমার বিশ্বাস (৫৩), সভপতি স্থানীয় বাসিন্দা মৃত মানষ রঞ্জন বিশ্বাসের মেয়ে মহিমা রঞ্জন বিশ্বাস (৬১), উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবুল আকতার, প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ বেলাল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলার মাছুয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মামুদানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে পৃথকভাবে বাৎসরিক সংস্কার ও শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী খাতে সরকারি বরাদ্দের ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটিতে ৫০ হাজার ৮২৫ টাকা এবং অপরটিতে ৫৭ হাজার ২২৮ টাকার কাজ না করে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ভুয়া বিল ভাওচার করে আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/১১৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার লংঘন।

সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল-মুজাহিদ জানান, দুদকের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আরজি দিয়েছি। যদিও বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় ছোট অভিযোগের অনেক বড় মামলা হয়েছে মনে হলেও আইনের চোখে এ জাতীয় অপরাধকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই।

তবে এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ বেলাল বলেন, দেখুন বিদ্যালয় সংস্কার বাবদ সরকারি বরাদ্দ এলেই আমরা কমিটি করে সেই টাকার কাজের জন্য বরাদ্দ দিয়ে দিই। তাছাড়া আমি নন টেকনিক্যাল মানুষ, কাজ ঠিকমতো হয়েছে কিনা, সেই ছাড়পত্র দেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার। তিনিই ভালো বলতে পারবেন যে এ খাতের বরাদ্দ দেওয়া টাকার মধ্যে কত টাকার কাজ হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘন্টা, ২০ এপ্রিল, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।