ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপন সোমবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মে ১, ২০২২
চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপন সোমবার ফাইল ছবি

চাঁদপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এবারও চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার (০২ মে)। এ উপলক্ষে জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তরের এসব গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দেশে আগাম ঈদ পালনকারীদের একজন ফরিদগঞ্জের উভারামপুর গ্রামের কামরুল হাসান পাটোয়ারী বলেন, তাদের পাশে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার রোববার (০১ মে) ঈদ উদযাপন করেছে। তবে সেখানে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম ঘটেনি।

এদিকে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু করে সকাল ৯টা পর্যন্ত চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে অন্তত ২০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে টোরা মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা এ এস এম রহমত উল্লাহ।

অন্যদিকে, হাজীগঞ্জের সাদ্রা হামিদিয়া সিনিয়র মাদরাসা মাঠে ইমামতি করবেন পীরজাদা মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

গত বছরের মতো এবারও বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগাম ঈদ উদযাপনকারীদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি —এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায়। আর সেই সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছে, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।

তার দাবি, গত শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখে গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্ত হয়ে রোববার আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরীফে ঈদের জামাত হয়েছে।

সাদ্রা দরবার শরিফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঈদ উদযাপন করছি না। আমার চাচারা ঈদ উদযাপন করলেও আমাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আমরা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবো।

প্রতি বছর চাঁদপুরের চারটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা একদিন আগে উদযাপিত হয়।  

জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.)-এর অনুসারীরা বিগত ৯৪ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মণিহার, বড়কূল, অলিপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

>> চাঁদপুরে দুই গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।