বরিশাল: ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও নৌ নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করায় বরিশাল নদী বন্দরে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা গুনেছে ৪ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করায় নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে অর্থাৎ সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে লঞ্চগুলো নদী বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
শনিবার (০৭ মে) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন, মুশফিকুর রহমান, তরিকুল ইসলাম ও জাভেদ হোসেন চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় কীর্তনখোলা লঞ্চকে ১ লাখ, সুন্দরবনকে ১০ হাজার, পারাবাতকে ৬ হাজার এবং কুয়াকাটা লঞ্চকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিন রাতে বরিশাল থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এর আগে বিকেল থেকে নদী বন্দরে উপচে পরা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল লঞ্চের ডেক। কেবিনগুলোর সামনে হাঁটার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। বিশেষ করে প্রিন্স আওলাদ ১০ লঞ্চের ছাদে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না।
বরিশাল নদী বন্দর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় সরাসরি রুটের মোট ১৩টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। পারাবাত ৯, পারাবাত ১০, পারাবাত ১২, কুয়াকাটা ২, সুন্দরবন ১০, সুন্দরবন ১১, সুরভী ৮, মানামী, প্রিন্স আওলাদ ১০, সুরভী ৭, অ্যাডভেঞ্চার ১, কীর্তনখোলা ১০ ও কীর্তনখোলা ২ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় রওনা হয়।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নদী বন্দরে তদারকি করেছেন। কোনো লঞ্চ যাতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে যাত্রী পরিবহন না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
এমএস/এনএসআর